গাজায় যুদ্ধবিরতি: ইসরাইল কাতারে পাঠালো উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার জন্য কাতারে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছেন। এ খবর নিশ্চিত করেছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থাপনে এবং হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা এগিয়ে নেয়া। শনিবার (১১ জানুয়ারি) নেতানিয়াহু মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকের পর তিনি ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানসহ একটি প্রতিনিধিদল কাতারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। খবর রয়টার্সের।

শনিবার সকালে এক ইসরাইলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রতিষ্ঠায় ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা কিছুটা অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই চুক্তির মধ্যস্থতা করছে মিশর, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারীরা নতুন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের আকস্মিক হামলায় ১,২০০ জন ইসরাইলি নিহত এবং ২৫০ জনেরও বেশি লোককে বন্দি করা হয়। এর পর ইসরাইল গাজায় হামলা চালায় এবং যুদ্ধ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৪৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা নেতানিয়াহুর কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই আলোচনা হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি জিম্মিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্টিভ উইটকফ শুক্রবার দোহায় পৌঁছেছেন এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানির সঙ্গে দেখা করেছেন। এই সাক্ষাৎকারে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।